নিজস্ব প্রতিবেদক :: এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৃহত্তম সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (অ্যাপিকটা), এই অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় ও সফল উদ্যোগ, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার স্বীকৃতি দিতে প্রতিবছর অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসের আয়োজন করে থাকে।
আগামী ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭। অ্যাপিকটার সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) দেশে প্রথমবারের মতো তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অস্কার হিসেবে স্বীকৃত এই অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
বাংলাদেশে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরতে শনিবার, এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন অ্যাপিকটা কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ড. দিলীপা ডি সিলভা, সহ-সভাপতি স্টান সিং, অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭ এর প্রধান বিচারক আবদুল্লাহ এইচ কাফি, বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার এবং অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭ এর আহবায়ক ও বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। এছাড়া অ্যাপিকটা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, বেসিস কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাপিকটা কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ড. দিলীপা ডি সিলভা বলেন, অ্যাপিকটার সদস্য হয়েই বেসিস চমক দেখাতে শুরু করেছে। ২০১৫ সালে সদস্য হওয়ার পর বাংলাদেশে দু’বার কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হয়েছে। প্রথমবারের মতোই অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ পুরস্কার জিতেছে। এবার বাংলাদেশেই আয়োজিত হচ্ছে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস। এই আয়োজনকে সামনে রেখে বেসিসের বিভিন্ন প্রস্তুতি দেখে আমরা আনন্দিত। আশাকরি বাংলাদেশে আয়োজিত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস পরবর্তী আয়োজনগুলোর জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। একইসঙ্গে তিনি অ্যাপিকটার ৫৫তম কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের জন্য বাংলাদেশের আতিথেয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস আয়োজন প্রসঙ্গে বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৫ সালে অ্যাপিকটার সদস্য হওয়া বেসিসের জন্য এটি একটি বিশাল অর্জন। জাপান থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ১৬টি দেশের প্রতিযোগিতার এই আয়োজন বাংলাদেশকে বিরল সম্মান এনে দিচ্ছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক প্রতিযোগি ১৭টি ক্যাটেগরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। এই উপলক্ষে এই অঞ্চলের প্রায় ছয় শতাধিক প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসবে। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করাতে ও রপ্তানীর বাজার বাড়াতে এই আয়োজন আমাদেরকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে। তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা এখন বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। অনেক দেশই এখন ডিজিটাল হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছে।
অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭ এর প্রধান বিচারক আবদুল্লাহ এইচ কাফি বলেন, বরাবরের মতো এবারও অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসের বিচারিক প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে হবে। প্রায় ৬০ জন বিচারকের সঙ্গে ৫ জন পর্যবেক্ষক বিচারক থাকবেন পুরো কার্যক্রমটি স্বচ্ছতার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে।
অ্যাপিকটার সহ-সভাপতি স্টান সিং বাংলাদেশের প্রস্তুতি দেখে সন্তুষ্ঠ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি এবারের আয়োজনের সফলতা কামনা করেন।
অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭ আয়োজনের আহবায়ক ও বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অ্যাপিকটা কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সভা। এছাড়া আগামী ডিসেম্বরে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস আয়োজন করা হবে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় মাইলফলক। এই আয়োজনকে সফল করতে সরকারি-বেসরকারি সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রথমবারের মতো অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসে অংশগ্রহণ করে আমরা গতবছর একটি পুরস্কার জিততে পেরেছি। এবার বাংলাদেশেই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই অনুষ্ঠানে আমরা সকল ক্যাটাগরিতে অংশ নিচ্ছি। আশাকরি বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো কিছু অর্জন করবে।
বাংলাদেশ ছাড়াও অ্যাপিকটার সদস্য দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই দারুসসালাম, চীন, চীনা তাইপে, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং নেপাল।
এদিকে বাংলাদেশে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭ সামনে রেখে রাজধানীর কাওরান বাজারে বেসিস কার্যালয়ে অ্যাপিকটার কার্যনির্বাহী কমিটির ৫৫তম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সভায় বাংলাদেশসহ সংগঠনটির ১৭টি ইকোনমি থেকে শীর্ষস্থানীয় ১৮ জন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭) থেকে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এই আজ শেষ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের এই জোট মূলত সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নিজ নিজ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের কাঠামো গঠন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে থাকে। এছাড়া সদস্য দেশগুলোর নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তিকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরা, তথ্যপ্রযুক্তির সক্ষমতা উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি ইনোভেশনগুলোকে এগিয়ে নিতে বেশ শক্ত ভূমিকা রাখে এই জোট। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন হিসেবে ২০১৫ সালে বেসিস অ্যাপিকটার সদস্যপদ লাভ করে।
(বিডি প্রেস রিলিস/০৭অক্টোবর/এসএম)
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪