নিজস্ব প্রতিবেদক :: পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট এর অপার সৌন্দর্য তুলে ধরতে অপো একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেছিলো। পর্বতারোহী ড: নিমা নামগেয়াল শেরপা এবং আলোকচিত্রী অ্যাডাম মেং পর্বতারোহণ করে পৌঁছান এভারেস্ট বেস ক্যাম্প এ এবং সেখানকার অপার সৌন্দর্য বন্দি করেন অপো এফ১১ প্রো এর দুর্দান্ত ক্যামেরায়।
সৌন্দর্য শুধুমাত্র দর্শনার্থীর চোখের মাধ্যমে নয়, এফ১১ প্রো এর ক্যামেরার মাধ্যমেও তুলে ধরা সম্ভব। আর এজন্যই এভারেস্ট পর্বতের আড়ম্বর ও মোহনীয়তা তুলে ধরতে প্রথমবারের মতো এর বেশ কিছু ছবি তোলা হয়েছে অপো এফ১১ প্রো এর ক্যামেরার মাধ্যমে। এই ছবিগুলোতে শুধু মাত্র এভারেস্টের সৌন্দর্যই নয়, উঠে এসেছে ট্রেকিং এর উপভোগ্য অভিজ্ঞতাও। এরকম একটি জায়গায় ট্রেক করার সময় অভিযাত্রীদের নিজেদের ওজনের দ্বিগুন ওজনের মালপত্র বহন করতে হয়। পানি এবং খাবার বহন করা যেখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে ভারী ক্যামেরা ও এর সরঞ্জাম ব্যবহার না করে শুধুমাত্র অপো এফ১১ প্রো করেও মনোমুগ্ধকর ছবি তোলা সম্ভব।
এফ১১ প্রো এ তোলা ছবিগুলোতে হিমালয়ের এমন রূপ উঠে এসেছে যা আগে কখানো দেখা যায়নি।
অপো এফ১১ প্রো এর লেন্সে এভারেস্ট’র সৌন্দর্য
পর্বতের নিখুঁত সৌন্দর্য
আকাশ যেখানে মর্ত্যের সাথে মিশে যায়, বাতাসের গতি যেখানে তীব্র, ছায়া যেখানে সরু হতে হতে মিশিয়ে যায়, এমনই এক ‘সময় থমকে দেয়া’ স্থানের রূপ তূলে ধরতে সক্ষম হয়েছে এফ১১ প্রো। ‘স্বর্গীয়’, এই উপমাটিই হয়তো এর সৌন্দর্য প্রকাশে কিছুটা সুবিচার করতে সক্ষম।
অপো এফ১১ প্রো এর লেন্সে এভারেস্ট’র সৌন্দর্য
শৈল্পিক ক্যানভাস
উচ্চতার সাথে বোঝাপরা করতে সক্ষম পর্বতারোহীরাই কেবল হিমালয়ের আদি ও অকৃত্রিম রূপটি উপভোগ করতে পারেন। এফ১১ প্রো কে ধন্যবাদ দিতেই হয়, কারণ হিমালয়ের নিখুঁত রূপ শৈল্পিক ভাবে ধারণ করতে সক্ষম হওয়ায় এখন সকলেই হিমালয়ের রুপসুধা পান করতে সক্ষম হবে।
অপো এফ১১ প্রো এর লেন্সে এভারেস্ট’র সৌন্দর্য
হিমালয়ের ভূচিত্র
অদেখা স্বর্গ হয়তো এই ভূভাগের মতোই। এফ১১ প্রো তে ধারণ করা ওয়াইড এঙ্গেল ল্যান্ডস্কেপ ফটো এতোটাই দারুণ যে প্রথম দেখায় একে শিল্পীর আঁকা ছবি বলে ভ্রম হয়।
অপো এফ১১ প্রো এর লেন্সে এভারেস্ট’র সৌন্দর্য
রাতে এভারেস্ট বেজক্যাম্পের শ্বাসরুদ্ধকর রূপ
বেজক্যাম্পের প্রতিটি রাতই এতোটাই মোহনীয় যে একে জগতের বাইরের কোন দৃশ্য বলে মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। অপো এফ১১ প্রো তে কালার রিপ্রোডাকশন আর হোয়াইট ব্যালেন্স এর দারুণ সমন্বয়ে হিমালয়ের রাতের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সৌন্দর্যও ফুটে উঠেছে দারুণ ভাবে।
অপো এফ১১ প্রো এর লেন্সে এভারেস্ট’র সৌন্দর্য
দমকা হাওয়ার রাজ্য
পটভূমিতে এভারেস্টের শান্ত রূপ এবং এর বিপরীতে হাওয়ার তীব্রতায় প্রায় ছিড়ে যাবার উপক্রম নিশানগুলোর টানটান রূপ দেখে আন্দাজ করা যায় যে পৃথিবীর উচ্চতম এই স্থানটি অভিযাত্রীদের জন্যে কতোটা নিষ্ঠুর হতে পারে। এফ১১ প্রো এর মাধ্যমে তোলা এই ছবির মাধ্যমে আলোকচিত্রি একই ছবিতে গতি ও স্থিরতার এই বিপরীতমুখী রূপটিই ফুটিয়ে তুলেছেন।
অপো এফ১১ প্রো এর লেন্সে এভারেস্ট’র সৌন্দর্য
হিমালয়ের ভারবাহী সঙ্গী
ইয়াক, লোহার ঝোলাপুল আর প্রার্থনা নিশান পৃথিবীর এই অংশের চিরাচরিত রূপের প্রতিচ্ছবি। হিমালয়ের অধিবাসী ও পর্বতারোহীদের মালপত্র বহনের একমাত্র বাহন এই ইয়াক। নিজের ওজনের সমান ভার পিঠে নিয়ে যেভাবে এরা অবলীলায় পুলগুলো পার হয় এটি দেখে মনে হতেই পারে হিমালয়ে চলাচল বোধহয় খুব একটা কঠিন কিছু নয়! কিন্তু এই সরু পুলগুলো পার হবার সময়ে অতি সাহসীরও বুক কেঁপে উঠতে বাধ্য। অভিযাত্রীদের মনে তাই সাহস জোগাতে স্থানীয়রা এই পুলগুলোতে প্রার্থনা নিশান টানিয়ে রাখে।
অপো এফ১১ প্রো এর লেন্সে এভারেস্ট’র সৌন্দর্য
প্রথম দর্শনে বেজক্যাম্প
শীতের তীব্রতা আর বাতাসে অক্সিজেনের স্বল্পতায় কাবু পর্বতারোহীদের জন্যে একটু বিশ্রাম ও গরম চা যেন এখানে শুধু বিলাসিতাই নয় বরং জীবনরক্ষাকারী উপাদান। সৌভাগ্যক্রমে পর্বতের এই উচ্চতায়ও এফ১১ প্রো দিব্যি কাজ করে যাচ্ছে।
অপো এফ১১ প্রো এর লেন্সে এভারেস্ট’র সৌন্দর্য
মোহনীয় এক সূর্যোদয়
চকচকে সবই সোনা নাও হতে পারে, কিন্তু ভোরের সোনালী আলোয় রীতিমতো কল্পলোকে পরিণত হওয়া এভারেস্ট চূড়ার স্বর্ণসম রূপ দেখবার অভিজ্ঞতা আর আল্ট্রানাইট মোডে অপো এফ১১ প্রোতে ধারণ করা সেই চিত্র যেকোন বিচারেই অমূল্য সম্পদ।
মর্ত্যের উচ্চতম এই স্থানে আরোহণের কষ্টকর এই যাত্রার শেষ গন্তব্যে পৌঁছালেই কেবল অনুভব করা যায় প্রকৃতি কতোটা সুন্দর আর মহাশক্তিধর। আর এই যাত্রায় যদি সঙ্গী হয় এফ১১ প্রো তবে স্মৃতিগুলো বন্দি করতে কোন অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হয়না। মাউন্ট এভারেস্ট যাত্রার এই অমূল্য মুহুর্তগুলো এফ১১ প্রো এর সাহায্যে এক ভিন্ন রূপে চির অম্লান থাকবে।
এই চমৎকার উদ্যোগটি সম্পর্কে অপো বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেমন ইয়্যাং বলেন “আমরা শুধুমাত্র সাধারণ অবস্থাতেই এফ১১ প্রো এর গুণাগুণগুলো যাচাই করে দেখতে চাইনি বরং পৃথিবীর রুক্ষতম অবস্থাতেও এর কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছি। ফলাফল যা দেখতে পেয়েছি তা এক কথায় অভূতপূর্ব এবং এই ফোনটি মোবাইল ফটোগ্রাফিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস”।
বিডি প্রেস রিলিস/ ১১ এপ্রিল ২০১৯/ এমএম
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪