নিজস্ব প্রতিবেদক :: ৭৭টি রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার থেকে ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় একযোগে কম্পিউটার প্রদত্ত নতুন টিকেট বিক্রি শুরুর মধ্য দিয়ে নতুন সূচনা করল টিকেটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সহজ। মাত্র ২১ দিনের প্রস্তুতিতে ৭৭টি কাউন্টারকে অনলাইনে সংযুক্ত করার পাশাপাশি টিকেট বিক্রি সেবা চলমান রাখতে টিকেটিং সল্যুশন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ রেলওয়ে নিষ্ঠা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে টিকেটিং সেবার উন্নয়নে কাজ করছে। টিকেটিং সিস্টেমের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে গত ১৫ বছরের পুরনো সিস্টেমকে বদলে নতুন প্রতিষ্ঠান সহজ-কে দায়িত্ব দিয়েছে তারা।
এছাড়া, ২৬ মার্চ সকাল ৮টায় রেলওয়ের নতুন ওয়েবসাইট (eticket.railway.gov.bd) থেকে টিকেটিং সেবা চালু করেছে সহজ নেতৃত্বাধীন সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি। রেলওয়ে কতৃক প্রদত্ত ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী অনলাইন রেল টিকিট ক্রয়ের সুযোগ থাকছে নতুন ওয়েবসাইটে।
মাত্র ২১ দিনে তৈরি করা সল্যুশন দিয়ে প্রথম দিনেই (২৫ মার্চ) ৭৭টি রেলওয়ে স্টেশনে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত টিকেট কাটা গেছে প্রায় ৪৫ হাজার। গত ২৬ মার্চ কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রি হয়েছে প্রায় ৯৫ হাজার। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, ২৭ মার্চ সারাদেশের ৭৭টি স্টেশনের কাউন্টার থেকে রেলের টিকেট বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার।
আরো জানা যায়, গত ২৭ মার্চ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দিনশেষে সহজ পরিচালিত বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন ওয়েবসাইটে প্রায় ৪০ হাজার অনলাইন টিকেট সফলভাবে বিক্রির কাজ সম্পন্ন করা গেছে। এছাড়া সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত নতুন ওয়েবসাইটে মোট নিবন্ধনকারীর সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ।
সহজ-এর জনসংযোগ ব্যবস্থাপক ফারহাত আহমেদের বলেন, গত ১৫ বছর ধরে চলমান পুরনো সমন্বিত টিকেটিং সিস্টেম হস্তান্তরের কথা থাকলেও আগের প্রতিষ্ঠান গত ২১ মার্চ বিকেলে এসে নামেমাত্র একটি সিডি হস্তান্তর করেছে, যার সাথে কোনো বিস্তারিত তথ্য বা ডকুমেন্ট ছিল না। এছাড়া পূর্বে ব্যবহৃত মোবাইল অ্যাপও হস্তান্তর করেনি আগের প্রতিষ্ঠান। ফলে জনসাধারনের কথা বিবেচনা করে এবং দেশব্যাপি ৭৭টি কাউন্টারে রেলওয়ে টিকেটিং পরিচালনার কাজ চলমান রাখার লক্ষ্যে মাত্র ২১ দিনে সল্যুশন এবং রেলের টিকেট কাটার নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করেছে সহজ, যা ছিল বিশাল চ্যালেঞ্জিং কাজ।
এছাড়া দেশব্যাপি রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে হার্ডওয়্যার ইন্সটল করা, টিকেটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা বুকিং এজেন্ট বা কাউন্টারে প্রশিক্ষণ দেয়া এবং রেলওয়ে টিকেট পরিচালনা সংক্রান্ত লজিস্টিক সামলানোর মতো কাজ বেঁধে দেয়া ২১ দিনেই পুরোদমে চালিয়ে গেছে সহজ। বিভিন্ন কাউন্টারগুলোতে দায়িত্বে থাকে প্রশিক্ষিত রেলওয়ের বুকিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, টিকেট ইস্যুর ক্ষেত্রে নতুন সিস্টেমটি আধুনিক, যা তাদের কাজের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
উল্লেখ্য টেন্ডার অনুযায়ী, ২৬ মার্চ ২০২২ পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে প্রয়োজন স্বাপেক্ষে রেলের টিকেট কাটার ক্ষেত্রে নতুন ইন্টেগ্রেটেড টিকেটিং সিস্টেম তৈরি এবং তা যথাযথ প্রক্রিয়ায় ইন্সটল বা প্রতিস্থাপন করে আরো উন্নত ও সহজ উপায়ে টিকেট পরিচালনা করা হবে।
বিডি প্রেসরিলিস /২৯ মার্চ ২০২২ /এমএম
Posted on জানুয়ারি ৮th, ২০২৫
Posted on জানুয়ারি ১st, ২০২৫
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪