নিজস্ব প্রতিবেদক :: নতুন রঙ, নতুন গ্রাফিক্স এবং সাজসজ্জায় সেজে বাংলাদেশের বাজারে এলো হোন্ডা এক্সব্লেড ১৬০ মডেলের অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম ( এবিএস) ভার্সন। বাইকটিতে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস দেয়া হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে।এক্সব্লেডের এবিএস ভার্সন পাওয়া যাবে ডাবল ডিস্ক ও সিঙ্গেল ডিস্কে। ডাবল ডিস্কের এবিএস ভার্সনের দাম ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। সিঙ্গেল ডিস্কের এবিএস ভার্সনের দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯০০ টাকা।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাইকটি উন্মোচন করা হয়। এসময় বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুতসুও উসুই এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নরেশ কুমার রতনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।মুতসুও উসুই বলেন, ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে আসে হোন্ডা এক্সব্লেড। জনপ্রিয়তার নিরিখে বাইকটিকে নতুন রূপে সাজিয়ে এবিএস ভার্সনে বাংলাদেশে উন্মুক্ত করা হলো।
তিনি জানান, হোন্ডা এক্সব্লেড ১৬০ এবিএস ভার্সনের এই বাইক সম্পূর্ণ বাংলাদেশি তৈরি। নরেশ কুমার রতন এক্সব্লেডের এবিএস ভার্সনের নতুন ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।তিনি বলেন, তরুণদের কথা মাথায় রেখে, বিপুল চাহিদার ভিত্তিতে এই বাইকটিকে নতুন রঙ, গ্রাফিক্স এবং ফিচার দিয়ে এবিএস ভার্সনে উন্মুক্ত করর চাহিদার ভিত্তিতে উন্মুক্ত করা হলো।
আধুনিক সব চাহিদা মেটাতে ১৬০ সিসি ক্লাসের নতুন এই হোন্ডা এক্সব্লেড সাশ্রয়ী দামের স্ট্রিট অলরাউন্ডার একটি বাইক। অত্যাধুনিক স্টাইল, দারুণ পাওয়ার ও মাইলেজ, উন্নতমানের কমফোর্ট ফিচারের সঙ্গে এর সাশ্রয়ী দামের বিবেচনায় এক্সব্লেড বাইকটি হল একটি কমপ্লিট প্যাকেজ।
এক্সব্লেডকে ডিজাইন করা হয়েছে রোবো ফেসড হেডল্যাম্প, শার্প স্কাল্পটেড ফুয়েল ট্যাঙ্ক, স্টার্ডি হাগার ফেন্ডার, স্পোর্টি আন্ডার কাউল, আকর্ষণীয় ফ্রন্ট ফর্ক কভার, এবং ডুয়েল আউটলেট মাফলার এর মত নজরকারা অত্যাধুনিক ডিজাইন দিয়ে।
এক্সব্লেডে দেয়া হয়েছে ডাবল ডিস্ক ব্রেক। যার সামনে রয়েছে সিঙ্গেল চ্যানেল অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম। বাইকটিকে আরো নিরাপদ করতে সামনের চাকায় ২৭৬ মিলিমিটার এবং পেছনের চাকায় ২২০ মিলিমিটার পেডাল ডিস্ক সংযোজন করা হয়েছে। যা সহজেই তাপ ছড়িয়ে দিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে সেরা ব্রেকিং অভিজ্ঞতা দিতে পারে।
এছাড়াও এর অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস) তৎক্ষণাৎ ব্রেকিংয়ে পর্যাপ্ত কন্ট্রোল বজায় রেখে ব্রেক করার কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে। ইমারজেন্সি পরিস্থিতিতে বাইকের হ্যাজার্ড সতর্কতা বার্তা দিতেও সক্ষম। পেছনের ১৩০ মিলিমিটার প্রশস্ত টায়ার, বাইকে যেকোনো স্পিডে প্রোপার কন্ট্রোল বজায় রেখে অসাধারণ গ্রিপ এবং সর্বোচ্চ ভারসাম্য ধরে রাখতে পারে যা শহরবাসীদের জন্য খুবই জরুরি।
হোন্ডা ইকো-টেকনোলজি (এইচইটি) ইঞ্জিনে আছে সর্বোচ্চ শক্তি ১৪.১ পিএস@৮৫০০ আরপিএম, সর্বোচ্চ টর্ক ১৩.৯ নিউটন মিটার @ ৬০০০ আরপিএম। এটিতে ১৬৩ সিসির ইঞ্জিন সংযোজিত হয়েছে। রয়েছে সর্বোচ্চ ফুয়েল ধারন ক্ষমতা। এক্সব্লেডে প্রতি লিটারের ৫৯* কিলোমিটারের একটি ব্যালেন্সড পারফর্মেন্স দিয়ে থাকে।
এক্সব্লেডে আছে ফুল ডিজিটাল স্পিডোমিটার, গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর, সার্ভিস ডিউ ইন্ডিকেটর, ফুয়েল ইন্ডিকেটর, ট্রিপ কিলোমিটার, এবিএস ইন্ডিকেটর এবং ডিজিটাল ঘড়ির মত উন্নত ফিচারের যা একজন রাইডারকে যাত্রাকালীন সময়ে সকল ধরনের তথ্য দিয়ে তাকে সাহায্য করে থাকে। বাইকটির মনো-শক সাসপেনশন, লিংক টাইপ গিয়ার শিফট প্যাডেল, ১৩৫০ মিলিমিটার লং হুইলবেস, ১৬০ মিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং লম্বা সিট রাইডিং অভিজ্ঞতাকে নিয়ে যাবে এক অনন্য মাত্রায়।বাইকটিতে রয়েছে এম এফ ব্যাটারি, ভিস্কস এয়ার ফিল্টার, টিউবলেস টায়ার এবং সিলড চেইন।
বিডি প্রেসরিলিস / ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ /এমএম
Posted on ফেব্রুয়ারি ৬th, ২০২৫
Posted on ফেব্রুয়ারি ৬th, ২০২৫
Posted on জানুয়ারি ৮th, ২০২৫
Posted on জানুয়ারি ১st, ২০২৫
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪